বৃহস্পতিবার ● ৭ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দৌলতখানে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ
দৌলতখানে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ
রোমানুল ইসলাম সোহেব, দৌলতখান প্রতিনিধি: দৌলতখান কলেজ রোড পাকার মাথার সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ব্রিজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের হাজার-হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটি দীর্ঘদিন থেকে ব্রিজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীকে বিকল্প পথ হিসেবে সুপারিগাছের সাঁকো দিয়ে পার হতে হয়।
কিন্তু কাজের ধীরগতি ও অতিবৃষ্টির কারণে সুপারি গাছের সাঁকোটিও পানিতে ডুবে যায়। ফলে বর্তমানে সুপারিগাছের সাঁকো দিয়েও যাতায়াত করতে ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্রিজটির কাজ নির্মাণাধীন থাকায় ওই পথে ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ওই গ্রামের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহণেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথে অধিক অর্থ ব্যয় করে মালামাল আনয়ন করায় ক্রেতাসাধারণকে চড়াদামে মালামাল ক্রয় করতে হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জিএস ভুট্টো তালুকদার জানান, ওই ওয়ার্ডের খালের ওপর নির্মিত ব্রিজটির সংযোগ ওই অঞ্চলের জনসাধারণ যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ নির্মাণের কাজ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বন্ধ থাকায় জনসাধারণকে যাতায়াতে
সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা পৌর প্রকৌশলী শাহাদাৎ শরিফ বলেন ১৪ মিটার দীর্ঘ সৈয়দপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজটির নির্মাণ কাজ গত মার্চ মাসে শুরু করে।
অন্যদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ। এক সাথে দুই টা ব্রিজের নির্মাণের কাজ চলমান থাকায় এবং প্রথমে কলেজ রোড পাকার মাথার ব্রিজের কাজ শুরু করলেও এখন পর্যন্ত সেটা শুরুর দিকে, তার পরের ব্রিজের কাজ পেরায় শেষ পর্যায় ফলে বর্তমানে সুপারিগাছের সাঁকো দিয়েও যাতায়াত করতে ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
-এফএইচ