বুধবার ● ৬ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দুলারহাটের মজিবনগরে ৪ শিক্ষাককে বহাল
দুলারহাটের মজিবনগরে ৪ শিক্ষাককে বহাল
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশনের দুলাহাট থানার বিছিন্ন দ্বীপ মজিবনগর ইউনিয়নে দু’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো তৃতীয় ধাপে হওয়ায় আদালতে মামলার জটলার জন্য বেতন-ভাতা পাচ্ছেনা। বৃহম্পতিবার মহামান্য হাইকোর্ট বেঞ্চ ৪ জন শিক্ষকের পক্ষে রায় প্রদান করেছেন।
স্থানীয় শিক্ষা অফিস ও এলাকাবাসী জানান, ২০০৯ সালে বিছিন্ন দ্বীপে প্রাথমিক পর্যায়ের কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় গড়ে উঠে উত্তর চরমোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম চরলিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্থানীয় উত্তর চরমোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এসএমসি’র সভাপতি সাইফুল্যাহ মোল্লা বলেন, এই অঞ্চলে লেখা পড়ার পরিবর্তে যখন শিশুরা নদী তে রেণুপোনা ও মাঠে শ্রমজীবি কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এলাকায় শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আনতে দু’টি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেছেন।
একটি বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন, সহকারী শিক্ষক রাশিদা বেগম ও আবুল কালাম আজাদসহ ৪জন শিক্ষক নিয়মিত পাঠদান করিয়ে এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছেন।
পশ্চিম চরলিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ ছালাম জানান, আমারা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে পাঠদান করে এলাকার পরিবেশ সুন্দর করেছি। কিন্তু আমার বিদ্যালয়ে আমেনা বেগমের নামের পরিবর্তে রফিকুল ইসলাম নাম দিয়ে গোলা পানিতে মাছ শিকার করেছে। আমরা বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষক সরকারি বেতন-ভাতা পেলেও সহকর্মী আমেনা বেগম ১০বছর ক্লাস পরিচালনা করেও মামলার জন্য বেতন-ভাতা পায়নি। এতে শিক্ষা পরিবেশ ব্যহত হচ্ছে। আবদুল্লাহপুর এলাকার জনৈক আব্বাস ষড়যন্ত্র করে রোকসানাসহ দু’প্রতিষ্ঠানে ৪ জন অন্য শিক্ষক দেয়া হয়। তারা কোন দিন স্কুলে যায়নি এবং স্কুল চিনেও না। পরবর্তীতে উত্তর চরমোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন মহামান্য হাইকোর্টে ৪জন শিক্ষকের পক্ষে ৫৮৬৮/১৬ নং পিটিশন দাখিল করেন। হাইকোর্ট ব্রাঞ্চের বিচারক সালমান মাসুদ চৌধুরী ও জহুরুল হক সমম্বয় ৩১ মে বৃহম্পতিবার প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেনসহ ৪জন শিক্ষকের পক্ষে রায় প্রদান করেন।
অন্যান্য শিক্ষক হলেন, রাশিদা বেগম, আবুল কালাম আজাদ ও চরলিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আমেনা বেগম। রায় প্রদানের পক্ষে এড. ছিদ্দিকুল্যাহ মিয়া মামলা পরিচালনা করেন।
-এমএএইচ/এফএইচ