শনিবার ● ২ জুন ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভোলায় এক মাসে ঝড়ে গেল ২০ প্রাণ!
ভোলায় এক মাসে ঝড়ে গেল ২০ প্রাণ!
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলায় চলতি বছরের মে মাস জুড়ে একের পর এক ঘটেছে ডাবল মার্ডার, নিসংস হত্যাকাণ্ড, কু-প্রস্তাবে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যা, সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা নিহত হয়েছে ২০ জন। যার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডার ও এনজিও টাকা তুলতে গিয়ে খুন এবং ছেলের হাতে মা খুন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দু’সহোদরের মৃত্যুর সহ চাঞ্চল্যকর এসিড নিক্ষেপের ঘটনাও বেশ আলোচিত। পুলিশ এসব ঘটনায় বেশ কিছু আসামীকে গ্রেফতার ও করেছে।
মাস জুড়ে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটলেও মাদক উদ্ধার সহ এক মাসেই প্রাই দুই শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও বিভিন্ন মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ১ মে মঙ্গলবার রাতে ভোলার সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ২ নং ওয়ার্ডে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারিত হয়ে রমজান আলী (১৬) নামের এক এসএসসি ফলপ্রার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
২ মে চরফ্যাশনে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে চাচাতো ভাইর হাতে খুন হন সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি। উপজেলার চর কলমী গ্রামে এ ঘটনায় পুলিশ চার জনকে গ্রেফতার করেন।
৪ মে সন্ধ্যায় দৌলতখানে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ছেলের হাতে খুন হয়েছে মা বকুল বেগম। উপজেলার দিদারুল্যাহ গ্রামে মাকে হত্যার পর ছেলে করিম আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ঘাতকে পুলিশ হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করেন।
৯ মে বুধবার সকালে তজুমদ্দিনের শেম্ভুপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের গ্লোকপুর গ্রামের বাক-প্রতিবন্ধী আব্দুল করিমের স্ত্রী নুরুনাহার (৩৫) নামের এক গৃহবধূর বিষপাণ করে আত্মহত্যা করলে হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ।
১০ মে দুপুরে সদর উপজেলার আলীনগর গ্রামে কিস্তির টাকা তুলতে গিয়ে খুন হয় হিড বাংলাদেশের এনজিও কর্মী বেলাল হোসেন। ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশ ঘাতক আরেক বেল্লালকে গ্রেফতার করে।
১১ মে লালমোহনে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছে বাবা কৃষ্ণকমল নামের এক ব্যাক্তির।
গত ১৩ মে রাতে ভোলা সদরের বাপ্তা গ্রামে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন ভাই মাসুম ও তার শ্যালক জাহিদকে নিসংশভাবে হত্যা করে ঘাতক আরেক ভাই মামুন ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় আসামীরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় শহরে এখনো আলোচনার ঝড় বইছে।
১৪ মে সকালে লালমোহনের পাঙ্গাশিয়া গ্রামে পল্লী বিদ্যুৎকর্মীদের অবহেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আল-আমিন (৫) ও সিয়াম (৩) নামে দুই সহোদরের মৃত্যু হয়।
একই দিন বিকেলে ভোলা সদরের মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত এক ব্যাক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এছাড়া ওই দিন রাতে প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভোলা সদরের উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের খসিয়া গ্রামে এসিডে ঝলসে দেয়া হয় তানজিলা ও মারজিয়া নামের দুই বোনকে। এসিড নিক্ষেপের ১১দিন পর ২৬ মে পুলিশ ঘাতক মহাব্বত হোসেন অপুকে গ্রেফতার করেছেন।
১৫ মে লালমোহনের সবুজ বাগ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তানিয়া (৩০) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
২৯ মে রাতে লালমোহনে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী নাজম বেগম (১৪) বখাটদের ইভটিজিং এর শিকার হয়ে বিষপাণ করলে ৩১ মে রাতে ভোলা সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
সর্বশেষ ৩১ মে দুপুরে দুলারহাটের মজিবনগরে স্বামীর সাথে অভিমান করে মিনার বেগম (৪০) বিষপাণে আত্মহত্যা করেন।
এছাড়াও এ মাসেই বজ্রপাতে ১ জন ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে অন্তত আরো ৫ জন।
মে মাস জুড়ে হত্যা খুন, আত্মহত্যা ও এসিড নিক্ষেপের ঘটনা আলোচিত বিষয় থাকলেও মাদক উদ্ধারে পুলিশের অভিযান সক্রিয় ছিলো জেলার সাত উপজেলা।
-এফএইচ