ভোলায় আগুনে পুড়লো ৫৫ দোকান, তদন্ত কমিটি গঠন

বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলা পৌর শহরের চকবাজারে আগুন লেগে প্রায় ৫৫ টি দোকান পুড়ে গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র চকবাজারে লাগা এই আগুন মুহুর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আগুন মনিহারি পট্টি, ঘোষপট্টিসহ আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে ভোলার অন্যান্য উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৮ টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়ে ৪ ঘন্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে এসব দোকানে ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা হবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। এঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা করেছে জেলা প্রশাসন। তা আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করবেন।  

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মনোহারি পট্টির একটি হার্ডওয়ারের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার, তেলের ড্রাম, রং ও স্পিরিটসহ দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যে চার দিকে লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন লাগারপর এক পর্যায়ে খাল পাড় এলাকায় সুতা, পলিথিন ও ভোজ্য তৈলে ছড়িয়ে পড়লে আগুনের তীব্রতা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এর পর একেএকে চকবাজার এলাকার একাংশের স্টেসনারি, ফল, মুদিসহ খালপাড় এলাকার চালের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

এতে আলাউদ্দিন স্টোর, কর্ণফুলি চা, এ রহমান সন, নিখিল পন্ডিতের মুদি দোকান, হাসান স্টোর,আজাহার স্টোর, শরিফ সু স্টোর,  নুর প্লাস সহ ৫৫ টি দোকান পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ভাবে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এতে প্রায় ৫৫টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আংশিক ও পুরপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮ টি ইউনিটের ৪ ঘণ্টা প্রচেষ্টায় ভোর ৫ টার দিকে আগুন সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আঃ হালিম বলেন, আমাকে প্রধান করে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার, সদর উপজেলা ইউএনও, ফায়ার সার্ভিসের সহ কারী কর্মকর্তা, পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে  সদস্য করে ৫ সদস্য বশিষ্টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব এখনো জানা যায়নি। আগুনে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

আগুনের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন ভোলা জেলা প্রশাসক মাকসুদ আলম সিদ্দিক ও পুলিশ সুপার মোকতার হোসেন সহ প্রশাসনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা। তাদের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে সহযোগীতা করেন।

-এফএইচ