বুধবার ● ৪ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিভাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা
পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিভাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা
এম আরিম হোসেন, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: পল্লী গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিভাজিতে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা। কারণে-অকারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের লোডসেডিং চলছে। যদিও শাহাবাজপুর প্রাকৃতিক গ্যাস দিয়ে ২২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যু উৎপাদন হচ্ছে। পাশা-পাশি ভোলা সদর থেকে আরো ৩৪ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ বিদ্যুতের সুফল বরিশালসহ কয়েকটি জেলা ভোগ করলেও বাতির নিচে থাকছে অন্ধকার। এতে লোডসেডিং দিনে গড়ে ৫/৬ ঘন্টা, রাতে ১ঘন্টা বিদ্যুৎ ১ঘন্টা যেন লোডসেডিং দিচ্ছে। এতে গরমে চরফ্যাশন ও লালমোহনের গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে জনজীবন বিপযস্ত হয়ে পড়ে। অসুস্থ্য হয়ে ভোগছে মানুষ।
আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আল এমরান হোসেন বলেন, বিদ্যুতের সমস্যা চরফ্যাশন শেষ হবেনা। বিদ্যুতের কারণে পরিষদের কোন কাজই করতে পারিনা। ফলে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে গ্রাহকরা।
ছাত্রলীগ সভাপতি (সাবেক) আব্বাস উদ্দিন বলেন, প্রচ- গরমে আমরা অতিষ্ঠ দিনে রাতে যেন গড়ে ৫/৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছি। কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করলে তাদের অজুহত-বর্ষাকালে তার চিড়ছে, খড়া থাকলে লাইনে কাজ চলছে। আকাশে মেঘ দেখলে সংযোগ বন্ধ করে তারা ঘুমিয়ে যাচ্ছে। এখন গরম এখন লাইনে কাজ চলার অজুহতে সারাদিন বিদ্যুৎ বন্ধ রাখছে। আসলে এই হলো বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের জবাব। লোডসেডিং পড়া-লেখার ব্যাপক বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে।
চরফ্যাশন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএম রোকনউদ্দিন বলেন, ২৫ মেঘাওয়াট থেকে ও ৫ মেঘাওয়াট নিয়ে গেছে বাংলাবাজার রেন্টালে। যার ফলে আমাদের লোডসেডিং দিতে হয় বাধ্যতামূলক।
পল্লীবিদ্যুতের জিএম কেফায়েত উল্লাহ বলেন, ২২৫ মেঘাওয়াট থেকে নিচ্ছি মাত্র ২৫ সেখান থেকেও পাচ্ছি ২ মেঘাওয়াট। লোডসেডিং দিতেই হবে। শাহাবাজপুর পাওয়ার প্লান্ট বলছে এর সমাধান শীঘ্রই হবে।
গ্রাহক ইউনুছ তালুকদার বলেন, লোডসেডিং এর ভোগান্তি শুরু হয়েছে। সঠিক সেবা না দিলেও তারা বিল সঠিক সময় নিতে ভুল করে না। বিল দিতে একটু বিলম্ব হলে লাইন কাটতে কোন বিলম্ব নেই কর্তৃপক্ষের। সাবধান এতে ঘণ ঘণ লোডসেডিং দিয়ে গ্রাম-গঞ্জে বিলের কাগজ নিয়ে যাবে না। জনগণ এখন রাতে না ঘুমাতে পেরে ক্ষোভে আছে।
চরফ্যাশন উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী দিপক মিস্ত্রী বলেন, পল্লী বিদ্যুতের লাইনে কাজ চলার কারণে আমরা বিদ্যুতের লাইনে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। লোডসেডিং বন্ধে দ্রুত কার্যক্রর ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তেক্ষেপ কামনা করছেন চরফ্যাশনবাসী।
-এফএইচ