বুধবার ● ২৮ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনে আ’লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
চরফ্যাশনে আ’লীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে প্রবীণ আ’লীগ নেতা জব্বার মাস্টারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের এতিমখানার নির্মাণাধীন খালি ভবন থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত জব্বার মাস্টার চরফ্যাশন পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দয়ের করা হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার প্রতিদিনের ন্যায় ৭নং ওয়ার্ড বাসা থেকে মাগরিবের নামায আদায় করতে বের হয়। নুরু সিকদার বাড়ীর দরজায়র জামে মসজিদে মাগরিব এবং এশার নামায তিনি আদায় করতে মুসল্লিরা দেখেছেন। এমনকি এশারের নামায আদায় করে এতিমখানা চৌমহনী চা খেয়েছেন। রাত গভীর হলে তারই ছেলে মাসুম বিল্লাহ তার বাবা জব্বার মাস্টরের মোবাইল ফোনে কল দেন। কল রিসিভ হচ্ছে না। রাত জেগে কল আর স্বজনদের কাছে খোঁজ-খবর নেয়।
এতিমখানা সড়ক দিয়ে দক্ষিণে আসা পথে এতিম খানার বাবুর্চি সানাউল্লাহ বুধবার সকালে ফজরের নামায শেষে পানির মটোর সুই দিতে গিয়ে দেখেন নির্মাণধীন এতিমখানার একটি কক্ষে কাঠের সাথে সাদা পানঞ্জাবী পরিহিত বৃদ্ধ লোক জুলছে। তার কাছে মোবাইলের রিং বাজছে। তার ডাক চিৎকারে প্রথমে তারই বড় ছেলে মাসুম বিল্লাহ দৌড়িয়ে এসে তার পিতাকে জড়িয়ে কান্না ভেঙে পরে।
ছেলে মাসুম বিল্লাহ অভিযোগ করেন, আমার পিতা মাদকসেবী ও বিক্রেতার বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তারাই আমার পিতাকে হত্যা করতে পারে। আমি সঠিক বিচার দাবী করছি।
পৌর ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিল তরিকুল ইসলাম মিলন জানান, বিচারে ন্যায়সংগত কথা বলতেন। মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে সব সময় প্রতিবাদ করতেন। এজন্য তার মৃত্যুর কাল বলেন তিনি ধারণা করেন।
চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মু.এনামুল হক ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এতিমখানার চলমান নির্মাণাধীন ভবনের কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থা দেখে স্থানীয়ও পরিবারের লোকজন রাস্তা এনে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে তারই বড় ছেলে মাসুম বিল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যার মামলা দায়ের করেন। যার নং ২৩। সে সব সময় পাঞ্জাবী মাথা টুপি পরিহিত থাকতেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামাতের সহিত আদায় করতেন। লাশ উদ্ধারের সময় তার গায়ে সদা পাঞ্জাবী, মাথার টুপিতে একফোটা রক্তসহ পাশে পরে থাকতে দেখা গেছে। একপায়ে জুতা অন্য পায়ের জুতা পাশে ছিল। চোখ মুখে গলায় ব্যাপক চিহ্ন দেখা গেছে। বিষয়টি চরফ্যাশন সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
ময়না তদন্ত শেষে বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় চরফ্যাশন এতিম খানার মাঠে জানা যার নামাত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
-এমএএইচ/এফএইচ