মঙ্গলবার ● ২০ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » মিডিয়া » সংবাদকর্মীকে অণ্ডকোষ চেপে নির্যাতনে ৮ পুলিশ বরখাস্ত, ডিসিকে অব্যাহতি
সংবাদকর্মীকে অণ্ডকোষ চেপে নির্যাতনে ৮ পুলিশ বরখাস্ত, ডিসিকে অব্যাহতি
ডেস্ক: বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি’র বরিশালের ক্যামেরাপাসন সুমন হাসানকে অণ্ডকোষ চেপে নির্যাতন করার ঘটনায় বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযুক্ত আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার (ডিসি) উত্তম কুমার পালকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়াকে ডিবির উপ-কমিশনারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বরিশাল মহানগর পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার এসএম রুহুল আমীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৩ মার্চ সাংবাদিক সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় ১৪ মার্চ প্রধান অভিযুক্ত কনস্টেবল মাসুদুল হককে এবং ১৫ মার্চ অপর দুই কনস্টেবল চৌধুরী রাসেল পারভেজ ও মো. আব্দুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
পরে গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) রুনা লায়লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তাদের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে সোমবার অভিযুক্ত আরও পাঁচ সদস্য- এসআই মো. আবুল বাশার, এএসআই মো. আক্তারুজ্জামান, এএসআই স্বপন চন্দ্র দে এবং কনস্টেবল কাজী সাইফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দুই ধাপে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া গোয়েন্দা পুলিশের আট সদস্যকে অপরাধের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমীন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম মাদক উদ্ধারে নগরীর বিউটি সিনেমা হল এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ জাহিদ নামে একজনকে আটক করে। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ডিবিসি’র ক্যামেরাপারসন সুমন হাসানের বড় ভাইয়ের ছেলে আজিজুর রহমান মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে পুলিশকে জানান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সুমন হাসান আটক জাহিদকে চড় মারেন। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সদস্যরা সুমনকে মারধর করেন। সুমন পরিচয়পত্র দেখানোর পর তার ওপর নির্যাতন আরও বেড়ে যায়।
মারধরের এক পর্যায়ে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। কোমরের বেল্ট খুলে তার গলায় পেচিয়ে ফাঁস দেয় এবং অণ্ডকোষ চেপে ধরলে সুমন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এরপর ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জ্ঞান ফিরলে আবারও সুমনের ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ। খবর পেয়ে সুমনের সহকর্মীরা ডিবি কার্যালয় গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সুমন শেরে-ই-বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।তিনি জানিয়েছেন, তার অণ্ডকোষে ব্যাথা রয়েছে এবং দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে হয়। বেল্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়ায়, গলায় ব্যাথা রয়েছে এবং শ্বাস নিতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।
-পিডি/এফএইচ