সোমবার ● ১৯ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় ১৬ জেলের কারাদণ্ড
ভোলায় ১৬ জেলের কারাদণ্ড
বিশেষ প্রতিনিধি: ইলিশের অভায়শ্রমে ভোলার মেঘনায় নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ১৬ জেলেকে দুই মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মনপুরার মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে মেঘনা থেকে ৫টি বেহুন্দি জাল ও চরঘেরা ১২টি ৭ হাজার মিটার নেট জাল জব্দ করে। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আলমগীর, রিয়াজ, রাশেদ, নাজিম, মাসুদ, আবু তাহের, সাইফুল, রফিক, সাজাহান, করিম, মারুফ, বাচ্চু, রাসেল, রশিদ মাঝি, রশিদ রাঢী ও সুজন। তাদের সবার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রামদাসপুর গ্রামে।
ভোলা সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, রবিবার রাত ১০টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃধা মো. মোজাহিদুল ইসলাম ইলিশের অভায়শ্রমে ইলিশ সংরণের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের নেতৃত্বে পুলিশ ও নৌ-পুলিশ নিয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৩টি ট্রলার নিয়ে ইলিশ ধরার অপরাধে মেঘনার রামদাসপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জালসহ ১৬ জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যেককে ২ মাসের কারাদ- প্রদান করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। আটক জাল মেঘনায় তীরে পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মনপুরার মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে সোমবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথ অভিযান চালিয়ে মেঘনা থেকে ৫টি বেহুন্দি জাল ও চরঘেরা ১২টি ৭ হাজার মিটার নেট জাল জব্দ করে । পরে জব্দকৃত সকল জাল হাজির হাট ল্যান্ডিং স্টেশন ঘাটে এনে জনসমুঙ্খে আগুনে ফুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আগুনে ফুড়ানো নিষিদ্ধ জাল ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। কোস্টগার্ড ও মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, রুটিন মাফিক প্রতিদিনের ন্যায় তারা মেঘনায় যৌথ অভিযান চালায়। সোমবার সকাল ৮টা থেকে একটানা বেলা ২টা পর্যন্ত তারা মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্ট হাজির হাট, নাইবের হাট, দাসের হাট, মাস্টারহাট, জনতা বাজার, মাঝের ঘাট, চরনিজাম, ভুইয়ার হাট, জংলার খাল, রিজির খাল কাটাখাল ও রামনেওয়াজ লঞ্চঘাট সংলগ্ম মেঘনার বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালায়। অভিযানে ৫টি বেহুন্দি জাল, চরঘেরা ১২টি নিষিদ্ধ ৭ হাজার মিটার নেট জাল জব্দ করে এবং জব্দকৃত সকল বেহুন্দি ও নেট জাল হাজির হাট ল্যান্ডিং স্টেশন ঘাটে আগুন লাগিয়ে ফুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্যাহ আল মামুন, মৎস্য অফিসার আঃ গাফফার, কোস্টগার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার হাতিয়া পেটি অফিসার মো. রেজাউল। অভিযান সম্পর্কে উপজেলা মৎস্য অফিসার আঃ গাফফার বলেন, মেঘনায় অভিযান অব্যাহত থাকবে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অভিযান চলবে।
উল্লেখ্য, ইলিশের অভায়াশ্রমে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিশেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ।
-এমএসএইচ/এসইউ/এফএইচ