শুক্রবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত ভোলার যোগ্য উত্তরসূরি
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত ভোলার যোগ্য উত্তরসূরি
এইচ এম নাহিদ : প্রিয় বাবার মত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন কর্মী হয়ে ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি সঙ্গে পথ চলা শুরু করেন। যিনি নাড়ীর পড়শে কোমল কাদামাটিকে আপন করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে ভালবাসেন মাইনুল হোসেন বিপ্লব।
ভোলার মানুষের ভালবাসায় আজ তিনি নিজেকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে যিনি সর্বদা নিজের মেধা,মনন প্রয়োগ করতে চান, ভোলায় আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যাকে ছাড়া ভাল কিছু ভাবা যায় না, জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদের পরে ভোলা বাসীর হৃদয়ে মহৎ যে ব্যক্তির নাম লেখা হয়েছে, যাকে একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে নয় আগামী দিনে ভোলার জেলা আওয়ামীলীগের একজন কান্ডারী হিসেবে দেখতে চায় ভোলাবাসী তিনি আমাদের বিপ্লব ভাই।
কর্মযজ্ঞ, মেধা আর নিজ যোগ্যতায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব । তৃনমূল রাজনীতির পথ বেয়ে তিনি এখন কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে নিজেকে একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে মেলে ধরছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত আর বঙ্গবন্ধু তনয়া, উন্নয়নের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গঠনের নিবেদিত এক কর্মীর নাম আমাদের মাইনুল হোসেন বিপ্লব ।৬৯-র গণআন্দোলনের রূপকার , মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব জননেতা তোফায়েল আহাম্মেদের একমাত্র সু-যোগ্য উত্তরসূরী তিনিই আমাদের প্রিয় মাইনুল হোসেন বিপ্লব ভাই।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বজয়ী নেতৃত্ব ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরাসহ জনমত গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এই তরুণ রাজনৈতিক। অনলবর্ষি বক্তা হিসাবে জনপ্রিয় তিনি। তিনি ভোলা জেলার তরুন প্রজন্মের কাছেও বেশ গ্রহনযোগ্য। সফল, জনপ্রিয়, মেধাবী একজন রাজনৈতিক, ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের ত্যাগী বঞ্চিত নেতা-কর্মীদের একজন আস্থাবাজন সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছেন,
বর্তমান প্রজন্মের মাঝে শিক্ষাদূত হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন জনাব মাইনুল হোসেন বিপ্লব।তিনি বরিশাল ক্যাডেট কলেজ থেকে এসএসসিতে মেধা তালিকায় নবম, এইচএসসিতে ১৭তম এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি থেকে স্কলারশিপ নিয়ে কম্পিউটার সাইন্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি করেন। ২০০৩ সালে কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সিডনি ক্যাম্পাস থেকে ইনফরমেশন সিস্টেমস ম্যানেজমেন্টে গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা এবং ২০০৪ সালে একই ইউনিভার্সিটি থেকে ইনফরমেশন সিস্টেমসে মাস্টার্স করেন।
মাইনুল হোসেন বিপ্লবের অর্জিত জ্ঞান ও শিক্ষা অন্যদের থেকে আলাদা হতে সহায়তা করেছে। ছোটবেলা থেকেই তিনি কখনোই বিদেশে স্থায়ী হওয়ার কথা ভাবেননি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করেন। পাশাপাশি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজনীতিতে যুক্ত হন। দেশের একজন বড় রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতার সন্তান হয়েও তিনি রাজনীতির জোয়ারে গা ভাসিয়ে দেননি কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। এলাকার বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা তাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করে থাকেন। তিনি সব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণও করে থাকেন। রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে মিশে গিয়ে তিনি ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলার সৎ সাহস নিয়ে সমাজ ও দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। মাইনুল হোসেন বিপ্লব ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগ ভোলা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে অল্প কয়েক দিনেই প্রমাণ করেন তিনি কি ভাবে কর্মী বান্ধব হয়ে দলের জন্য কাজ করা যায়।
এলোমেলো অবস্থায় দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনের সু-দৃঢ় ভীত রচনা করেন তরুণ এই নেতা। ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের যখন থানা কমিটি থেকে শুরু করে সকল তৃণমূল কমিটিতে অসন্তোষ ছিল, ২০১৬ সালে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের পর থেকে অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে তা গুছিয়ে বাবার মুখ উজ্জল করেছেন এই মেধাবী তরুণ নেতা।
আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিনসহ প্রায় সব তৃণমূল কমিটির নেতাকর্মীদেরকে একত্র করে সংগঠন গুছিয়ে ফেলেন। এতে করে তিনি দলের সব তৃণমূল নেতাদের খুব কাছের মানুষে পরিণত হন। ভোলার তরুণ এই নেতার প্রচারণা প্রভাব শুধু ভোলা, দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনেই পড়েনি জেলার অন্যসব উপজেলার নির্বাচনের প্রচারণায়ও পড়েছে।
ভোলার সাধারণমানুষ মনে করছেন তরুণ এই নেতা যেভাবে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রতিটি মানুষের দুঃখ-দুর্দশার খবর নিয়েছেন এবং যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি তার এই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলে আগামীতে তিনিই হবেন ভোলা আওয়ামী লীগের যোগ্য উত্তরসূরি।
-এফএইচ