শুক্রবার ● ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভাঙনের আতঙ্কে মুজিবনগরবাসী !
ভাঙনের আতঙ্কে মুজিবনগরবাসী !
একেএম গিয়াস উদ্দিন, দুলার হাট: চরফ্যাশনের মুজিবনগর ইউনিয়ন তেঁতুলিয়া নদীতে ভাঙ্ন আবার ও ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। ভাঙনের আতঙ্কে নির্ঘুম রাতযাপন করছেন এলাকাবাসী। দ্রুত ভাঙ্ন রোধের ব্যবস্থা না নিলে মুজিব নগর বাজার রক্ষা করা যাবে না।
মুজিব নগর ইউপি চেয়ারম্যান আ: অদুদ বলেন, মুজিবনগর ৯ টি ওয়ার্ডের গত বছর ১,২,৩,৪,৫ নং ওয়ার্ড নদীর গর্ভে প্রায় ২০০ টি পরিবার বিলিন হয়ে গেছে। মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে বেড়ী ও তার আশেপাশে ঝুপড়ী বেঁধে আছে। এই বছর মুজিবনগর বাংলাবাজার প্রায় অর্ধেক নদীর গর্ভে চলে গেছে। এফডিএ শাখা ব্যবস্থাপক মো. ছায়েদ জানান, বর্তমানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে মুজিব নগর কে আর রক্ষা করা যাবে না। তিনি আরো বলেন এ বাধঁ তিন বার দেওয়া হয়েছে। দুইটি বাধঁ নদীতে বিলীন হয়ে এখন মুজিবনগর শেষের বাধঁ বিলিন হওয়ার পথে।
মুজিবনগরের ব্যবসায়ী ডা. বেলায়েত, বশির মেম্বার, হোসেন ব্যাপারী জানান, আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। যে কোন সময় মুজিব নগর বাজারের দোকান পাট, বাড়ি ঘর নদীতে তলিয়ে যেতে পারে। জরুরী ভিত্তিতে ব্লক ও জিও ব্যাগের ব্যাবস্থা করার জন্য ভোলা-৪ আসনের এমপি উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব সু দৃষ্টি কামনা করছি। মুজিব নগর ইউনিয়ন ভেঙে গেলে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পদ হারিয়ে যাবে। হয়তো বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে মুজিব নগর নাম মুছে যাবে। দুলার হাট থানা থেকে ৯ কিলোমিটার দুরে মুজিব নগর শিক্ষা, চিকিৎসা, উৎপাদনে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নে যখনি এগিয়ে যাচ্ছে ঠিক তখনি তেঁতুলিয়ার কড়াল গ্রাসে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসছে মুজিবনগর।
৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আ: মালেক জানান, আমার ভিটা, মাছের ঘের, তরকারীর খামার সহ ১১৬০ শতাংশ জমি নদীর গর্ভে চলে গেছে। এখন আমি রাস্তার পার্শ্বে ঐ ছোট ঝোপড়া ঘরে কোন রকমে বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে রয়েছি। এ রকমে প্রায় ৪০০ ঘর বাড়ি নদীর গর্ভে হারিয়ে আবাসন গুচ্ছ গ্রামে, রাস্তার পার্শ্বে বসে আছে। এদিকে বোয়ালখালী বাজার নদীর মাঝে এখন রয়েছে বলে তিনি জানান। প্রায় ৩০ হাজারের এ জনগোষ্ঠি এখন কোথায় যাবে? দ্রুত ভাঙ্ন রোধের ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।
-এফএইচ