সোমবার ● ৮ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » পাঠশালায় একটায় বাজে ছুটির ঘণ্টা…
পাঠশালায় একটায় বাজে ছুটির ঘণ্টা…
এম আমির হোসেন: ভোলার দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলো মোয়াজ্জিনের জোহরের আজানের পর পরই ছুটি হয়ে যায়। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময় থাকলেও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঠিক কোন তদারকি না থাকায় এমন চিত্রই দেখা গেছে বিদ্যালয়গুলোতে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে চরফ্যাশন উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের হামিদিয়া, ভাষাণ একে সিকদার, মধ্য শশী, উমরাবাজ, গোলখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ একাদিক প্রতিষ্ঠান গিয়ে চোখে পড়ে প্রাথমিক শিক্ষার যেন বেহাল অবস্থা। জানুয়ারী মাসে তেমনটা ক্লাস হয় না, তাই একটু তাড়াতাড়ি ছুটি দেওয়া হয়েছে। এমনটাই বললেন হামিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাদ্দেক হোসেন। ভাষাণচর একে সিকদারের প্রধান শিক্ষক বেল্লাল হোসেনকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
দুপুর ১: ৩৫ টায় বিদ্যালয়ের সংবাদকর্মীরা হাজির হতেই আশ পাশের বেশ কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী ছুটে আসে বাড়ী থেকে। বিদ্যালয়টি বন্ধ দেখে ক্যামেরা বন্দি করেই চরফ্যাসন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমানের মোবাইল ফোনে জানতে চান সংবাদকর্মীরা আজ স্কুল কি ছুটি নাকি বন্ধ রয়েছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। স্কুল কয়টা পর্যন্ত খোলা রাখার নিয়ম রয়েছে ? তিনি বলেন, বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তাহলে এত তাড়াতাড়ি স্কুলটি বন্ধ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, তাই নাকি! কেন এমনটা হয়েছে বিষয়টা আমি আগামি দিন দেখে ব্যবস্থা নিব।
দক্ষিণাঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি কোন নিয়ম মানছেনা বলেও অভিযোগ রয়েছে। সরকরের নির্ধারিত সময়ে পাঠদানে নির্দেশনা অমান্য করে প্রতিষ্ঠান গুলো চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থায়। শিক্ষা অফিস কর্তৃপক্ষ জনবল নেই এমন কথা বলে পার পেলেও বাস্তব চিত্র রয়েছে ভিন্ন। অভিভাবক ও সচেতন মহলের অভিযোগ শিক্ষা অফিসারগণ অফিসে বসে অলস সময় পার করছে। বিদ্যালয় পরিদর্শনে তাদের মনোনিবেশ নেই। ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার নাজুক অবস্থা দেখা দিয়েছে।
বেশ কয়েটি প্রতিষ্ঠানে, ক্ষুদ্র মেরামত ও স্লিপের টাকা পেয়ে কাজ না করিয়ে প্রধান শিক্ষকগণ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এই সকল সরকারি বরাদ্দ গুলো শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে ভাগ ভাটোয়ার হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এব্যপারে ওই এলাকার ক্লাষ্টারের দায়িত্বে সহকারী শিক্ষা অফিসার খালিদ আহম্মেদ বলেন, আমরা বিষয়টি শুনলাম ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই রকম দৃশ্য শুধু চরফ্যাশনের নয় সমগ্র জেলার অধিকাংশ পল্লী এলাকার পাঠশালা গুলোতে যোহরের আজানের সাথে সাথে ছুটি হয়ে যায়।
-এফএইচ