বৃহস্পতিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » হাকিমদ্দিনে তাসরিফকে ভিড়তে বাধা, সাংবাদিকের ওপর হামলা
হাকিমদ্দিনে তাসরিফকে ভিড়তে বাধা, সাংবাদিকের ওপর হামলা
বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার বোরহানউদ্দিনের হাকিমউদ্দিন লঞ্চঘাটে ঘাট পারমিট থাকা স্বত্ত্বেও তাসরিফ লঞ্চকে ভিড়তে দেয়া হয়নি এবং সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া গণমাধ্যম কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। ২৮ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি তাসরিফ-২ হাকিমউদ্দিন লঞ্চঘাটে ভিড়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় থানা পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মী, লঞ্চঘাটের জলদস্যু উজ্জল হাওলাদার, রুবেল হাওলাদার, নুরু মিয়াসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও তোপের মুখে ভিড়তে পারেনি। একই সময়ে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দ্যেশে বোরহানউদ্দিন ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম এরশাদ ছবি তোলার সময় ছাত্রলীগ এবং ঘাটের লোকেরা তাকে ব্যাপক মারধর করে এবং তার হাতে থাকে ডিএসএলআর ক্যামারে ছিনিয়ে নিয়ে গুরুত্বর আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাকে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হাসপাতালে ভর্তি সাংবাদিক এইচ,এম এরশাদ অভিযোগ করেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে স্থানীয় জলদস্যু উজ্জল হাওলাদারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী এলোপাথাড়িভাবে তার ওপর হামলা করে। এসময় তার ব্যবহৃত ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
এব্যাপরে অভিযুক্ত উজ্জল হাওলাদার লঞ্চঘাটে ভিড়তে না দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় লোকজন তার ওপর হামলা করলে আমি তাকে উদ্ধার করি।
এবিষয়ে তাসরিফ-২ লঞ্চের সুপার ভাইজার ফারুক অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি তাসরিফ-২ হাকিমউদ্দিন লঞ্চঘাটে ভিড়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও তোপের মুখে ভিড়তে পারেনি।একই ঘটনা গত বুধবার দৌলতখানেও ঘটিয়েছে আমরা মামলা করার জন্য দৌলতখান থানায় গেলে পুলিশ মামলাও নেয়নি। লঞ্চ পরিচালনার সরকারী সকল প্রকার অনুমোদন নিয়েই আমরা যাত্রী সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আর আমাদের জনপ্রিয়তাও শীর্ষে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দলীয় ক্ষমতাবলে ওরা আমাদের লঞ্চকে ঘাটে ভিরতে দেয়নি। আর সাংবাদিক নির্যাতন করার বিষয়ে আমরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
-এফএইচ