শেখ হাসিনার কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে কেউ ছাড় পাবেনা: ভোলায় ড.শান্ত

স্টাফ রিপোর্টার: বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো বোনের ছেলে আগামী নির্বাচনে ভোলা-২ আসনের আ’লীগের মনোনয় প্রত্যাশী ড. আশিকুর রহমান শান্ত বলেছেন, মহান স্বাধীনতার স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর কোন সন্ত্রাসী হামলা, মিথ্যা মামলা দায়ের, নানা ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন, করলে কেউ ছাড় পারবেনা, তাদেরকে ছাড় দেয়াও হবেনা। বৃহস্পতিবার বিকালে ভোলা সদর হাসপাতাল পরিদর্শন ও দৌলতখান উপজেলার এনায়েত জ্যোথী নামের এক আ’লীগ কর্মীর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করা রোগীসহ অন্যন্য রোগীদের দেখতে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা হলেন বিশ্বের মধ্যে একজন মমতাময়ী মা। তার ত্যাগী আওয়ামীলীগ কর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কেউ ছাড় পাবেনা। আত্বীয়করণ, মানুষের উপর হামলা চালানো, ভয়ভীতি প্রদর্শণ এসকল নেতাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনো মনোনয়ন দিবেনা এবং ক্ষমাও করবেন না। এই দেশ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের রক্তে গড়া বাংলাদেশ। অনেক ত্যাগ শিকার করে এই দেশ স্বাধীন করেছে। সেই দেশে কোন সন্ত্রাসের আস্তানা থাকতে পারবেনা এবং তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনো মেনে নিবেনা।

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ শাহিন, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান উপজেলার আ’লীগের নেতাকর্মীরাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, অর্থনীতিবীদ ড. আশিকুর রহমান শান্ত’র ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার পৌরসভার টাউন হলের দক্ষিণ পার্শে¦ মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনায়েত হোসেন জ্যোথি (৫০) নামের এক আওয়ামীলীগ কর্মীর উপর একদল সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মোবাইল টাকা পয়সা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

আহত এনায়েত জানান, আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আত্বীয় ড. আশিকুর রহমান শান্ত ভাইর ছবি আমার ফেসবুকে পোস্ট করে থাকি। সন্ত্রাসীরা আমাকে মারধর করে বলে শান্ত শান্ত করোস কেন, আমরা এমপি আলি আজম মুকুলের লোক। একথা বলেই মোঃ মাহাবুব, মুদি দোকান নয়ন, আতিক, আওলাদসহ ২০/৩০ জনে মিলে আমার উপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পরে হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে, নিজ নির্বাচনী এলাকা দৌলখান উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ জনতার সাথে কুশল বিনিময় এবং গণসংযোগ করে। ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে যান। বাড়ির পাশেই চিরনিদ্রায় কবরে শায়িত সাবেক মন্ত্রী পিতা মরহুম নাজিউর রহমানের কবর জিয়ারত করেন।

-এএলএমটি/এফএইচ