তজুমদ্দিনে মাদ্রাসা দখল, আতঙ্ক

তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: তজুমদ্দিন উপজেলার (এমপিও বিহীন) চাচড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে হামলা চালিয়ে আতংক সৃষ্টি করে দখলে নেয়ার চেষ্টা করেছে সুপার দাবীদার মাওঃ আঃ মতিন। এদিকে ১৯৯৯ সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুপার হিসাবে মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন মাওঃ শামছুদ্দিন। এনিয়ে অভিযোগ, মামলা পাল্টা মামলা ও দখলের চেস্টার ঘটনায় শিক্ষার্থী অভিবাবকদের মাজে আতংক সৃস্টি হয়ে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ২০০৩ সালে মাওঃ আঃ মতিন নিজেকে সুপার দাবি করে ভোলা নিন্ম আদালতে মামলা করেন। ২০০৮ সালে ওই মামলায় মাওঃ শামছুদ্দিন সুপার হিসেবে রায় পান। এরপর মাওঃ আঃ মতিন আপিল করলে আদালতকে বিভ্রান্ত করার দায়ে ২০১৩ সালে মাওঃ আঃ মতিনের ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ আপিল খারিজ হয়। ২০১৬ সালে মাওঃ শামছুদ্দিন ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদনের জন্য মাদ্রাসা বোর্ডে জমা দেন। এতেও মাওঃ আঃ মতিন আপত্তি দেন। পরে মাদ্রাসা বোর্ড দায়িত্ব পালনকারী চলমান সুপার কে এই মর্মে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন চায়। চলমান দায়িত্বে মাওঃ শামছুদ্দিন আছেন নির্বাহি কর্মকর্তার এমন প্রতিবেদনের পরও মাদ্রাসা বোর্ড একতরফা ভাবে ৮/১০/২০১৭ তারিখে মাওঃ আঃ মতিনকে দায়িত্ব বুজিয়ে দেয়ার জন্য চিঠি  প্রেরন করেন। চিঠি পেয়ে মাওঃ শামছুদ্দিন ২৩/১০/২০১৭তে হাইকোটে রিট দাখিল করেন। হাইকোট মাদ্রাসা বোর্ডের অর্ডার বাতিল করে ৬ বিবাদীর কাছে ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব চান। এরই মধ্যে ৬নং বিবাদী মাওঃ আঃ মতিন দলবল নিয়ে শনিবার ২৮ অক্টোবর মাদ্রাসা দখলের চেস্টা চালান। যে কারনে ৫৬ জন জেডিসি পরিক্ষার্থীর অনিশ্চয়তা সহ শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে বিঘিœত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

-আরএস/এফএইচ