বৃহস্পতিবার ● ৩১ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার না পেয়ে ভাংচুর
তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার না পেয়ে ভাংচুর
তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: রোগী নিয়ে দীর্ঘ সময় হাসপাতালে অপেক্ষা করেও ডাক্তার না পেয়ে উত্তেজিত জনতা বুধবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভাংচুর করেছে। এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দরজা, জানালাসহ বেশ কিছু আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। খবর পেয়ে তজুমদ্দিন থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়ালিয়া গ্রাম থেকে বুকের ব্যাথা নিয়ে বাবুল ও গোলকপুর গ্রাম থেকে শিশু রাশেদ (৮) নামের দুই রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। রাত ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কাউকে পায়নি বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। এক পর্যায়ে কাউকে না পেয়ে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারা ভোলা সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়। এ সময় স্থানীয় জনগণ উত্তেজিত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুর চালায়।
এদিকে রাতে জরুরী বিভাগে স্যাকমো বিটন চন্দ্র দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও তিনি সন্ধ্যা থেকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছিলেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। উত্তেজনার খবর পেয়ে প্রায় এক ঘন্টা পর তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাকে নাজেহাল করে।
এদিকে ডেপুটেশনে আশা ডাক্তার মমিনুল ইসলাম উত্তেজনার খবর পেয়ে নিজস্ব কোয়ার্টারের বাইরে তালা মেরে ভিতরে অবস্থান করে। পরে পুলিশ এসে তালা খুলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাংচুরের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন ঘটনাস্থলে আসেন। রাত পৌনে ১২ টায় ভোলার সিভিল সার্জন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নেই। লালমোহনের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া দু’জন মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন তারা সারাদিন কাজ করে ঐ সময় একটু বিশ্রামের জন্য বাসায় গিয়েছিলেন।
রাত ১২টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এবং ওসি একেএম শাহিন মন্ডল জানান পরিস্তিতি এখন শান্ত হয়েছে।
-এফএইচ