তজুমদ্দিনে দু’টি সরকারি হাই স্কুলেই তিন জন করে শিক্ষক !!

রফিক সাদী: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় দুটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও শিক্ষক সঙ্কটের কারণে ভেঙে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। এই প্রতিষ্ঠান দুটি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে আশির্বাদের পরির্বতে অভিষাপে রুপ নিয়েছে। দুটি সরকারী স্কুলের অন্তহীন সমস্যা দেখার যেনো কেউ নেই।

চাঁদপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছেন গণিত, বাংলা ও শরীরচর্চা বিষয়ের ৩ জন শিক্ষক। ফজিলাতুননেসা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪২০ জন ছাত্রীর জন্য রয়েছে সমাজবিজ্ঞান, শরীরচর্চা ও ধর্ম বিষয়ের ৩ জন শিক্ষক। এ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন একজন। অথচ ৯ জন করে শিক্ষক কোঠা রয়েছে এই দুটি সরকারী বিদ্যালয়ে। দু’একজন অতিথি শিক্ষক পাঠদান করালেও চার্জ বহন করে শিক্ষার্থীরা। দুটি হাই স্কুল সরকারী হয়েও শিক্ষক সঙ্কট ও বিভিন্ন অনিয়মের কারণে পড়া লেখার মান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় সচেতন মহল।

অভিভাবক পারভেজ শাজী জানান, একটি স্কুলের ৩ জন শিক্ষক ৫টি ক্লাসের  ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ উজ্জল করবেন কি ভাবে ? স্কুল চলাকালীন ক্লাসে শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীদের বাজারে দোকানে আড্ডা দিতে দেখা যায়।

আরেকজন অভিভাবক জানান, দুটি সরকারী স্কুলে প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। দুটি স্কুলই তজুমদ্দিনবাসীর জন্য আশির্বাদের পরিবর্তে অভিষাপে পরিণত হতে চলছে। কিছুদিন পর অনুষ্ঠিতব্য জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষে উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। এসব সমস্যা  লাগবের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।

-এফএইচ