মঙ্গলবার ● ৪ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » উত্তর আইচা মাধ্যমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
উত্তর আইচা মাধ্যমিক বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি: চরফ্যাশনে উত্তর আইচা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির রাজনের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা দূর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিতা মনছুর আহাম্মদকে সভাপতি এবং পরিবারের সদস্যদের সদস্য করে মনগড়া ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে তিনি তার অনিয়ম ও দূর্নীতিকে বিস্তৃত করছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ আছে, হুমায়ন কবির রাজন বাবা মনছুর আহাম্মদকে সভাপতি, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন এবং স্কুলের ক্লার্ক মাইনুদ্দিনকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য করেছেন। পছন্দের লোকজনকে অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য করে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন। ওই ম্যানেজিং কমিটিকে অনুকূলে রেখে ভাবী ফরিদা ইয়াসমিন, মামী ফাহিমা বেগমসহ নিকটাত্মীয়দের শিক্ষক কর্মচারী পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও রসূলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান মিন্টু অভিযোগ করেন, কবে কখন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ থেকে তাকে ( হাসান মিন্টু) সরিয়ে দেয়া হয়েছে তা তিনি জানতেন না। সভাপতির দায়িত্ব পালন কালে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কখনোই ম্যানেজিং কমিটিকে সম্পৃক্ত করা হয়নি বরং ম্যানেজিং কমিটির স্বাক্ষর জাল করে গোপনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে বলে পরে জানতে পেয়েছেন।
রসূলপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম পন্ডিত অভিযোগ করেন, স্কুলটিতে ম্যানেজিং কমিটি গঠন প্রক্রিয়া কখনোই সংশ্লিষ্ট কেউ জানতেন না। প্রধান শিক্ষক মাসে ২/১ দিন বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীদের হাজিরা খাতা প্রধান শিক্ষকের বাড়িতে থাকে। তিনি বিদ্যালয়ে আসার দিন হাজিরা খাতা নিয়ে আসলে শিক্ষক কর্মচারীরা ওই দিনই হাজিরা খাতায় পুরো মাসের স্বাক্ষর করার সুযোগ পান। এ কারণে শিক্ষক কর্মচারীরা তার দূর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না। সম্প্রতি বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদে প্রধান শিক্ষক তার ছোট ভাইকে গোপনে নিয়োগের প্রক্রিয়া করলে বিষয়টি এলাকায় ফাঁস হয়ে যায়। যার জের ধরে প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন দূর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে এলাকায় হৈচৈ শুরু হয়।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মো. আনিচুর রহমান মিয়া বলেন, প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির রাজন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ম থেকে ম্যানেজিং কমিটিকে এড়িয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগসহ বিদ্যালয়ের সরকারি অনুদানের অর্থ আত্মসাত করে আসছেন। তিনি এসব দূর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন। মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, আমি সম্প্রতি চরফ্যাশন কর্মস্থলে যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি অবগত নই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।
-এসপি/এফএইচ