শুক্রবার ● ২ জুন ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লালমোহনে পুত্র বধুর স্বীকৃতি চায় দ্বীপ্তি
লালমোহনে পুত্র বধুর স্বীকৃতি চায় দ্বীপ্তি
লালমোহন প্রতিনিধি • লমোহনে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কালিপদের পুত্র বধুর স্বীকৃতি চায় দ্বীপ্তি। জানাযায়, লালমোহন পৌরসভার বিশিষ্ট চাল ব্যবসায়ী বাবু কালিপদ দাসের একমাত্র পুত্র উজ্জল দাস (ঝুলন) ঢাকার গাজিপুরে একটি বাসায় ভাড়া থেকে চাকরী করতেন। প্রায় দেড় বছর আগে পাশবর্তী ভাড়াটিয়া ও গার্মেন্টস কর্মী দীপ্তী রানী দাসের সাথে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর উজ্জল দ্বীপ্তিকে বিয়ে করে। প্রায় ১বছর স্বামী স্ত্রীর মত একত্রে বসবাস করে তারা। বিয়ের পর দ্বীপ্তির গর্ভে সন্তান আসে। দ্বীপ্তির অভিযোগ তার স্বামী উজ্জল তার গর্ভের সন্তানকে ঔষধ খাইয়ে নষ্ট করে দেয়। এরই মধ্যে দ্বীপ্তি উজ্জলের আসল মতলব বুঝতে পারে। দ্বীপ্তি উজ্জলকে তাদের লালমোহনের বাড়ীতে নিয়ে আসতে বললে, সে বিভিন্ন অযুহাত দেখায় এবং দ¦ীপ্তিকে বলে বিয়ের ব্যাপারটা কেউ জানে না। বাবাকে ম্যানেজ করতে কিছুদিন সময় লাগবে। সব কিছু ঠিক করে অল্প কিছুদিনের মধ্যে সে দ্বীপ্তিকে লালমোহনে তার বাবা মায়ের কাছে নিয়ে আসবে। উজ্জলের চলাফেরা ও কথাবার্তায় সন্দেহ হলে দ্বীপ্তি তার শশুড় বাড়ীর খোঁজে গাজীপুর থেকে লালমোহনে চলে আসে। শশুড় কালীপদ দাস সংবাদ পেয়ে তার পুত্রবধূকে ঘরে না তুলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র আটতে থাকেন এবং পালিয়ে বেড়ান। এদিকে শশুড় বাড়ীতে ঠাই না পেয়ে দ্বীপ্তি লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুল আলম হাওলাদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামছুল আরিফ, লালমোহন উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের সভাপতি/সম্পাদক সহ সকলের কাছে কালিপদ দাসের পুত্রবধুর স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্ঠা করেও কোন কুল কিনারা করতে পারেননি। এ ব্যাপারে দ্বীপ্তি বলেন উজ্জল আমাকে ঢাকার গাজীপুর শিব মন্দিরে ধর্মীয় নিয়ম নীতি মেনে বিয়ে করেছে। ঢাকার গাজিপুরে আমার সাথে এক বছর সংসার করেছে। আমার প্রথম সন্তান গর্ভের ৪ মাসের সময় উজ্জল নষ্ঠ করে দিয়েছে। বর্তমানে তার দেড় মাসের সন্তান আমার গর্ভে। আমি নিজের জন্যে না হলেও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের জন্য লালমোহনে শশুড় বাড়ীতে থাকতে চেয়েছিলাম। আমার শশুড় আমাকে বধু হিসেবে ঘরে না তুলে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে এবং পালিয়ে বেড়ান। উজ্জল এতদিন আমার সাথে যোগযোগ রাখলেও বর্তমানে সে তার বাবার কথামত যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও কালীপদের পুত্র উজ্জল পূর্বেও তপতী নামে এক মেয়েকে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। লালমোহন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ উজ্জলকে ফোনে জানতে চাইলে দ্বীপ্তিকে বিয়ে করার কথা স্বীকার করে এবং তার বাবাকে ম্যানেজ করে দ্বীপ্তিকে ঘরে তুলে দিতে অনুরোধ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাবু মনোরঞ্জন চন্দ জয়হিন্দ জানান, দীপ্তী দাস পুত্র বধুর স্বকৃতি পেতে আমার কাছে আসলে আমি কালীপদ বাবুকে খবর দিলে সে আমার কাছে না আসায় কোন সিদ্ধান্ত দিতে পারি নাই।
-আর আই/বিএস