শিরোনাম:
●   ভোলার কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে চাঁদপুরের মোহনায় অগ্নিকাণ্ড ●   উদ্ভাস-উন্মেষ-উত্তরণ এখন দ্বীপ জেলা ভোলায় ●   ভোলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আ’লীগের সমর্থিত প্রার্থী বশীর উল্লাহ সভাপতি, সম্পাদক মাহাবুবুল হক লিটু নির্বাচিত ●   ভোলা জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় ●   চরফ্যাশনে দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়লো চট্টগ্রামগামী বাস ●   ডয়েসে ভ্যালী ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনিস্টিটিউটের যৌথ আয়োজনে প্রিন্ট পত্রিকার সম্পাদকদের কর্মশালা সম্পন্ন ●   ভোলায় চারটি সহ সারাদেশে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ●   ভোলায় ৩৩৫ কোটি টাকার শহর রক্ষা বাঁধ এখন মরণ ফাঁদ! ●   ভোলায় জমি দখলের খবর পেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেলেন প্রবাসী ●   ভোলার নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ভোলা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলার সংবাদ
রবিবার ● ২৮ মে ২০১৭
প্রথম পাতা » ধর্ম » রোজায় সফলতা লাভে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল
প্রথম পাতা » ধর্ম » রোজায় সফলতা লাভে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল
৬০০ বার পঠিত
রবিবার ● ২৮ মে ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রোজায় সফলতা লাভে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল

 ---

ডেস্ক : পবিত্র সিয়াম সাধনার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন এবং কুরআন নাজিলের মাস রমজান। মুমিন বান্দা সিয়াম সাধনায় দিনের বেলায় পানাহার ও নিষিদ্ধ কাজকর্ম থেকে বিরত থাকে। উদ্দেশ্য একটাই- আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং সন্তুষ্টি লাভ। সুতরাং সারাদিন শুধুমাত্র উপবাস থাকলেই হবে না, বরং রোজায় সফলতা লাভে বিশেষ কিছু আমলে মনোযোগী হওয়া জরুরি। যা বাস্তবায়ন বান্দার রোজা পালন স্বার্থক হবে। সংক্ষেপে সেগুলো থেকে কিছু জেনে নিই।* রমজানে অনেক রোজাদার নিজের আমলের প্রচার করে থাকেন। যা ঠিক নয়। এসব প্রচারণা অনেক সময় অহঙ্কার ও গর্ববোধের জন্ম দেয়। এমনকি কোনো কোনো সময় নিজের আমলকে নষ্ট করে দেয়। সুতরাং আমল-ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর ভয় কামনা এবং নিজের আমলের শুকরগোজারি করা জরুরি।

* রমজানে মাসে ইফতারের সময় আজানের উত্তর দেয়া ‍গুরুত্বপূর্ণ আমল। যেহেতু সৎকর্মশীল বান্দাগণ অন্যান্য সময়ের চেয়ে রমজানে নেক আমলের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকে, তাই ইফতার পূর্ববর্তী সময়ে আজানের উত্তর দেয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া একান্ত কর্তব্য।

* তারাবিহ নামাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তারাবিহ মানেই হচ্ছে ধীরস্থিরভাবে নামাজ আদায় করা। সুতরাং তারাবিহ নামাজের রুকু, সিজদা, তাশাহহুদসহ নামাজের অন্যান্য আমলে তাড়াহুড়ো না করা।

* অনেকেই খতম তারাবিতে দীর্ঘ সময় নামাজে না দাঁড়িয়ে রুকুর অপেক্ষায় বসে থাকে। যখনই ইমাম রুকুতে যায়, তখনই তাড়াহুড়ো করে রুকুতে শরিক হয়। এটা তাকওয়াবিরোধী। সুতরাং খতম তারাবিতে তিলাওয়াত শ্রবণও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা পরিহার করা উচিত নয়।

* আমাদের সমাজে সবচেয়ে অবহেলিত ইবাদাত হলো ইতিকাফ। গ্রামের মসজিদগুলোতে ইফতার-সেহরি খাওয়ানোর শর্তে লোকদের ইতিকাফে বসানো হয়। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমৃত্যু প্রতিবছর রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফে বসতেন। শবে কদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত রমজানের শেষ দশকে নিহীত রয়েছে। যার অন্বেষণ করা একান্ত জরুরি।

* গরিব অসহায়দের মাঝে ফিতরা বিতরণ করা রমজানের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। বিশ্বনবী রমজানের শেষ দিকে অসহায়দের মাঝে ফিতরা দানের নির্দেশ করেছেন। যাতে ঈদের আনন্দে গরিব-দুঃখীর মুখে হাসি ফোটে। কেননা এ ফিতরার ফলে রোজায় মানুষের অনর্থক কথা ও কাজের ভুল-ত্রুটির কাফফারা হয়ে যায়। সুতরাং ফিতরা আদায়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

সুতরাং আল্লাহ তা’আলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের রোজা ও ইবাদত-বন্দেগিকে সফল ও সার্থক করতে উপরোক্ত কাজগুলো যথাযথ ভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

© 2024 দ্বীপের সাথে ২৪ ঘণ্টা Bholar Sangbad, সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।